বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের ছুটিতে ভারত: ৫ দিনে বেনাপোল দিয়ে ফিরলেন ৩২ হাজার

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম

ঈদের ছুটিতে ভারত: ৫ দিনে বেনাপোল দিয়ে ফিরলেন ৩২ হাজার

ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের টানা পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন পাসপোর্টধারীরা। এতে বন্দরে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে তারা ভারতে গিয়েছিলেন।জানা যায়, এবার ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত  ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এতে বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন বন্ধ ছিল দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানও সরকারি ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন্ধ রেখেছিল। এতে লম্বা ছুটি পেয়ে চিকিৎসা,ব্যবসা,দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকে গিয়েছিলেন ভারত, আবার অনেকে ভারত থেকে ফিরছেন। এতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। তাদের নিরাপত্তায় বন্দরে কাজ করছে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের নিরাপত্তা কর্মীরা।

রাজশাহীর কবির হোসেন জানান, তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। তবে শুন্য রেখায় লম্বা লাইনে যে ভিড় তাতে ইমিগ্রেশন সারতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে জনবল সংকট থাকায় তাদের দিন দিন এ দুর্ভোগ বেড়েছে।খুলনার রেশমা আক্তার সরকারি চাকরি করেন। এবার টানা পাঁচ দিনের ছুটি পেয়ে বেড়ানোর জন্য পরিবারের সঙ্গে ভারত গিয়েছিলেন। ছুটি শেষ হওয়ায় তাকে দেশে ফিরতে হয়েছে।

 ঢাকার বরকত জানান, দূরপাল্লার বাসে সিট সংকটের কথা বলে ভাড়া বেশি আদায় করছে পরিবহণ ব্যবসায়ীরা। সাধারণ সময় ঢাকার ভাড়া জনপ্রতি ননএসি ৭০০ টাকা ও এসি ১২০০ টাকা হলেও এখন চাইছে নন এসি ৮০০ টাকা ও এসি ১৫০০ টাকা। এতে ফেরার পথে পকেটে টাকা কম থাকায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করেন। ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের ১৫০ কোটি টাকা আয় হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়েনি।

 বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্র্যাফিক) রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় পাসপোর্ট যাত্রীদের ঘরে ফেরার চাপ বেড়েছে। তবে দ্রুত যাতে তারা বন্দরে পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে পারেন সেজন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে যাত্রী যাতায়াত করেছেন ৩২ হাজার ২৮৩ জন। স্বাভাবিক সময়ে এ সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে থাকে। এবার রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছেন। ঈদ ও নববর্ষ উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটি থাকায় মানুষ ঘুরতে ও চিকিৎসার জন্য ভারত যান। যাত্রীদের দ্রুত পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সারতে সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 উল্লেখ্য, আগে ভ্রমণ কর বড়দের (পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে) ৫০০, ছোটদের ২৫০ টাকা ছিল। এখন তা বেড়ে বড়দের ১ হাজার ও ছোটদের ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া বন্দর ৫৫ টাকা কর নিচ্ছে। আর ভিসা ফি বাবদ ভারতীয় দূতাবাসগুলো ৮৫০ টাকা নিচ্ছে।  বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী পাসপোর্টধারীরের কাছ থেকে বছরে ভারত সরকারের প্রায় ১৫০ কোটি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় হয়। দিন দিন ভ্রমণ কর বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়ায়নি পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

Link copied!

সর্বশেষ :