বাংলাদেশ শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সূর্যোদয়ের সঙ্গে রমনায় সুরের ছোঁয়ায় রাঙা হলো প্রভাত

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ০৮:১৪ এএম

সূর্যোদয়ের সঙ্গে রমনায় সুরের ছোঁয়ায়  রাঙা হলো প্রভাত

রাজধানীর রমনার বটমূলে প্রভাতি আয়োজন

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সুরের মূর্ছনায় নতুন বছর কে বরণ করে নিল দেশবাসী। রাজধানীর রমনার বটমূলে প্রভাতি আয়োজনের পাশাপাশি দেশব্যাপী ছিল বৈশাখের আয়োজন। নতুন বছরে সব জীর্ণতা আর গোঁড়ামি পেছনে ফেলে সহজ-সুন্দরের পথে চলুক মাতৃভূমি, আসুক সমৃদ্ধি–এটাই প্রত্যাশা সবার।

বসন্তের রূপ বদলে শুরু হলো খরতাপের বৈশাখ। গ্রাম বা শহর সব জায়গায় উৎসবের রঙ। প্রকৃতিতে নানান ফুলের মনমাতানো রূপ-গন্ধে নারী যেমন রাঙাচ্ছেন নিজেকে, তেমনি আবেশ ছড়িয়েছেন সবাইকে। দুই বছর পর, এই রঙের মেলায় যোগ দিয়েছেন নানান বয়সী মানুষ।রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টার দিকে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয়েছে বর্ষবরণের এবারের আয়োজন। সেই সুরে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ডুবে রয়েছেন অনুষ্ঠান দেখতে আসা নগরবাসী। আছেন নগরপিতাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা।বটমূলের আয়োজনে ছিল ছায়ানটের ৩০টি পরিবেশনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আঁধার রজনী পোহালো’ অথবা ‘তোমার সুর শুনায়ে’র মতো জনপ্রিয় গানের সঙ্গে তারা রেখেছেন অতুলপ্রসাদের ‘ওরে বন, তোর বিজনে সঙ্গোপনে’র মতো দাদরা তালের গান। এ সবই একক সংগীত। কাজী নজরুল ইসলামের ‘নম নম নম বাংলাদেশ মম’ আর ‘আনো আনো অমৃত বারি’র পাশাপাশি থাকবে নিশিকান্ত রায় চৌধুরীর ‘অধরা দিল ধরা এ ধুলার ধরণিতে’।

এদিকে নববর্ষ উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সকাল থেকেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোয় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের প্রতিটি পয়েন্টে ছিল পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যাপক উপস্থিতি। সকালে রমনা বটমূলের অনুষ্ঠানস্থলে আগতদের আসতে হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি পার হয়ে।

অনুষ্ঠানস্থলে আগতদের মতে, রমনা বটমূলের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান জাতীয় সংস্কৃতির অন্যতম ও অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের সঙ্গে রমনা বটমূলের এই সাংস্কৃতিক মিলনমেলা সবাইকে পরিতৃপ্ত করে, বাঙালিত্বে সামগ্রিকতা দান করে। তাই এগিয়ে যেতে হলে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

Link copied!

সর্বশেষ :