
চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় সহবাসের ইসলামিক নিয়ম, চিকিৎসা মতামত, উপকারিতা ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত।
ইসলাম একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। গর্ভাবস্থায় সহবাস সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ নয়, তবে কিছু শর্ত ও বিবেচনা রয়েছে:
কুরআন বা হাদীসে গর্ভবতী স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস নিষিদ্ধ করার কোনো সরাসরি বাণী নেই।
স্ত্রীর সম্মতি ও শারীরিক সক্ষমতা থাকলে সহবাস জায়েজ।
যদি সহবাসে স্ত্রীর শারীরিক বা মানসিক কষ্ট হয়, তাহলে সহবাস না করাই উত্তম।
শরিয়তের মূলনীতি হলো: কোনো ক্ষতি বা ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে তা পরিহার করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং আধুনিক গাইনোকোলজিস্টদের মতে, গর্ভাবস্থার বেশিরভাগ সময় সহবাস নিরাপদ—তবে কিছু শর্তে।
গর্ভাবস্থা ঝুঁকিমুক্ত (Low-risk pregnancy)
কোনো রক্তপাত, ব্যথা বা প্লাসেন্টার জটিলতা না থাকে
স্ত্রী মানসিক ও শারীরিকভাবে আরামদায়ক অনুভব করেন
অতিরিক্ত রক্তপাত হয়
জরায়ুর মুখ খোলা থাকে (Cervical incompetence)
আগের গর্ভপাতের ইতিহাস থাকে
যমজ সন্তান ধারণ করেন
প্লাসেন্টা নিচে অবস্থান করে (Placenta previa)
পানি ভেঙে যায় (Water break before labor)
অনেক দম্পতি ভাবেন এই সময়ে সহবাস ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ সহবাস বেশ কিছু উপকারিতা আনতে পারে—
স্ত্রীর মানসিক প্রশান্তি ও স্ট্রেস কমানো
ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়া
ঘুমের মান উন্নত হওয়া
ভালো হরমোন নিঃসরণ হওয়া
রক্ত চলাচল বাড়া
গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় ব্যথা হতে পারে নিচের কারণে:
জরায়ু ও যোনিপথের টিস্যু নরম হওয়া
হরমোনজনিত পরিবর্তন
গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্য
ভুল পজিশনে সহবাস করা
ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় পেটের উপর চাপ পড়ে এমন ভঙ্গি একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত।
নিচের পজিশনগুলো তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও আরামদায়ক:
সাবধানতা:
সহবাসের আগে ও পরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা মানা জরুরি
কোনো অস্বস্তি, ব্যথা বা রক্তপাত হলে তাৎক্ষণিকভাবে সহবাস বন্ধ করতে হবে
সহবাস করলে শিশুর ক্ষতি হয় – মিথ্যা (যদি গর্ভাবস্থা ঝুঁকিমুক্ত হয়)
সহবাস করলে গর্ভপাত হয় – সবসময় না; শুধুমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায় হতে পারে
ইসলাম সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করে – ভুল; শর্তসাপেক্ষে জায়েজ
গর্ভাবস্থায় সহবাস একটি স্বাভাবিক বিষয়, তবে এটি করতে হবে সতর্কতা ও সম্মতির ভিত্তিতে।
ইসলাম ও চিকিৎসা—দুটিই সহবাসকে নিষেধ করে না, তবে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান, শারীরিক নিরাপত্তা ও পারস্পরিক সম্মান।
আপনি যদি গর্ভাবস্থায় সহবাস নিয়ে দ্বিধায় থাকেন, প্রথমেই একজন বিশ্বস্ত গাইনোকোলজিস্ট ও ইসলামি স্কলার এর পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
ধর্ম বিষয়ক সঠিক তথ্য সবার আগে জানতে প্রথম সংবাদের পাশে থাকুন
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ আগস্ট ২০২৫
চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় সহবাসের ইসলামিক নিয়ম, চিকিৎসা মতামত, উপকারিতা ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত।
ইসলাম একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। গর্ভাবস্থায় সহবাস সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ নয়, তবে কিছু শর্ত ও বিবেচনা রয়েছে:
কুরআন বা হাদীসে গর্ভবতী স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস নিষিদ্ধ করার কোনো সরাসরি বাণী নেই।
স্ত্রীর সম্মতি ও শারীরিক সক্ষমতা থাকলে সহবাস জায়েজ।
যদি সহবাসে স্ত্রীর শারীরিক বা মানসিক কষ্ট হয়, তাহলে সহবাস না করাই উত্তম।
শরিয়তের মূলনীতি হলো: কোনো ক্ষতি বা ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে তা পরিহার করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং আধুনিক গাইনোকোলজিস্টদের মতে, গর্ভাবস্থার বেশিরভাগ সময় সহবাস নিরাপদ—তবে কিছু শর্তে।
গর্ভাবস্থা ঝুঁকিমুক্ত (Low-risk pregnancy)
কোনো রক্তপাত, ব্যথা বা প্লাসেন্টার জটিলতা না থাকে
স্ত্রী মানসিক ও শারীরিকভাবে আরামদায়ক অনুভব করেন
অতিরিক্ত রক্তপাত হয়
জরায়ুর মুখ খোলা থাকে (Cervical incompetence)
আগের গর্ভপাতের ইতিহাস থাকে
যমজ সন্তান ধারণ করেন
প্লাসেন্টা নিচে অবস্থান করে (Placenta previa)
পানি ভেঙে যায় (Water break before labor)
অনেক দম্পতি ভাবেন এই সময়ে সহবাস ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ সহবাস বেশ কিছু উপকারিতা আনতে পারে—
স্ত্রীর মানসিক প্রশান্তি ও স্ট্রেস কমানো
ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়া
ঘুমের মান উন্নত হওয়া
ভালো হরমোন নিঃসরণ হওয়া
রক্ত চলাচল বাড়া
গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় ব্যথা হতে পারে নিচের কারণে:
জরায়ু ও যোনিপথের টিস্যু নরম হওয়া
হরমোনজনিত পরিবর্তন
গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্য
ভুল পজিশনে সহবাস করা
ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় পেটের উপর চাপ পড়ে এমন ভঙ্গি একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত।
নিচের পজিশনগুলো তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও আরামদায়ক:
সাবধানতা:
সহবাসের আগে ও পরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা মানা জরুরি
কোনো অস্বস্তি, ব্যথা বা রক্তপাত হলে তাৎক্ষণিকভাবে সহবাস বন্ধ করতে হবে
সহবাস করলে শিশুর ক্ষতি হয় – মিথ্যা (যদি গর্ভাবস্থা ঝুঁকিমুক্ত হয়)
সহবাস করলে গর্ভপাত হয় – সবসময় না; শুধুমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায় হতে পারে
ইসলাম সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করে – ভুল; শর্তসাপেক্ষে জায়েজ
গর্ভাবস্থায় সহবাস একটি স্বাভাবিক বিষয়, তবে এটি করতে হবে সতর্কতা ও সম্মতির ভিত্তিতে।
ইসলাম ও চিকিৎসা—দুটিই সহবাসকে নিষেধ করে না, তবে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান, শারীরিক নিরাপত্তা ও পারস্পরিক সম্মান।
আপনি যদি গর্ভাবস্থায় সহবাস নিয়ে দ্বিধায় থাকেন, প্রথমেই একজন বিশ্বস্ত গাইনোকোলজিস্ট ও ইসলামি স্কলার এর পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
ধর্ম বিষয়ক সঠিক তথ্য সবার আগে জানতে প্রথম সংবাদের পাশে থাকুন[42]
[83]
[326]
[330]
[331]
আপনার মতামত লিখুন