বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক (Starlink)। গতকাল রাতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাডনবিশ জানান, ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে মহারাষ্ট্রে এই সেবা চালু করা হবে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এএফপি’র প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
ভারতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯০ কোটিরও বেশি ছাড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশটির সরকার গত জুন মাসে স্টারলিংককে লাইসেন্স প্রদান করেছে, যা স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর পথ সুগম করেছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ফাডনবিশ বুধবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে লেখেন, “মহারাষ্ট্র হতে যাচ্ছে ভারতের প্রথম রাজ্য, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের সঙ্গে কাজ শুরু করবে। এটি রাজ্যটিকে স্যাটেলাইটভিত্তিক ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতের নেতৃত্বে নিয়ে যাবে।”
এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতের দুই বৃহৎ টেলিকম প্রতিষ্ঠান জিও প্ল্যাটফর্মস ও ভারতি এয়ারটেল ঘোষণা দেয়, তারা স্পেসএক্সের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে যেন তাদের গ্রাহকরা স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
স্টারলিংকের ব্যবসা পরিচালনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার বলেন, “ভারতের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় অংশ নিতে আমরা খুবই আনন্দিত। স্টারলিংক চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই আমরা দেশটির সবচেয়ে দূরবর্তী ও অনগ্রসর অঞ্চলের স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য স্থাপনাকে সংযুক্ত করব।”
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত বর্তমানে প্রযুক্তি বিনিয়োগের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এএফপি জানিয়েছে, ভারতের বিশাল ডিজিটাল বাজার দখল করতে বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে।
সম্প্রতি গুগল ঘোষণা দিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে তারা ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ভারতের সবচেয়ে বড় ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তাদের সবচেয়ে বড় এআই বিনিয়োগ হবে।
এছাড়া, মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রোপিক ও ওপেনএআই ভারতে নিজস্ব অফিস স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে পারপ্লেক্সিটি এআই গত জুলাইয়ে ভারতীয় টেলিকম জায়ান্ট এয়ারটেলের সঙ্গে বড় অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিয়েছে, যা দেশটির প্রযুক্তি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।

বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক (Starlink)। গতকাল রাতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাডনবিশ জানান, ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে মহারাষ্ট্রে এই সেবা চালু করা হবে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এএফপি’র প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
ভারতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯০ কোটিরও বেশি ছাড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশটির সরকার গত জুন মাসে স্টারলিংককে লাইসেন্স প্রদান করেছে, যা স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর পথ সুগম করেছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ফাডনবিশ বুধবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে লেখেন, “মহারাষ্ট্র হতে যাচ্ছে ভারতের প্রথম রাজ্য, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের সঙ্গে কাজ শুরু করবে। এটি রাজ্যটিকে স্যাটেলাইটভিত্তিক ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতের নেতৃত্বে নিয়ে যাবে।”
এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতের দুই বৃহৎ টেলিকম প্রতিষ্ঠান জিও প্ল্যাটফর্মস ও ভারতি এয়ারটেল ঘোষণা দেয়, তারা স্পেসএক্সের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে যেন তাদের গ্রাহকরা স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
স্টারলিংকের ব্যবসা পরিচালনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার বলেন, “ভারতের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় অংশ নিতে আমরা খুবই আনন্দিত। স্টারলিংক চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই আমরা দেশটির সবচেয়ে দূরবর্তী ও অনগ্রসর অঞ্চলের স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য স্থাপনাকে সংযুক্ত করব।”
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত বর্তমানে প্রযুক্তি বিনিয়োগের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এএফপি জানিয়েছে, ভারতের বিশাল ডিজিটাল বাজার দখল করতে বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে।
সম্প্রতি গুগল ঘোষণা দিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে তারা ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ভারতের সবচেয়ে বড় ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তাদের সবচেয়ে বড় এআই বিনিয়োগ হবে।
[794]
এছাড়া, মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রোপিক ও ওপেনএআই ভারতে নিজস্ব অফিস স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে পারপ্লেক্সিটি এআই গত জুলাইয়ে ভারতীয় টেলিকম জায়ান্ট এয়ারটেলের সঙ্গে বড় অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিয়েছে, যা দেশটির প্রযুক্তি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।

আপনার মতামত লিখুন