উপহার দেওয়া আনন্দের, কিন্তু পুরুষদের জন্য উপহার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি প্রায়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ সাধারণ ধারণা হলো, ওয়ালেট, পারফিউম, ঘড়ি কিংবা একজোড়া জুতা দিলেই নাকি সব সমাধান হয়ে যায়। বাস্তবে বিষয়টি এত সহজ নয়। বেশিরভাগ পুরুষই অভিযোগ করেন তারা এমন অনেক উপহার পান যেগুলো কখনও ব্যবহারই হয় না। মূল সমস্যা একটাই, উপহারটি তাদের প্রয়োজন বা আগ্রহ অনুযায়ী হয় না।নতুন একটি জরিপ বলছে, পুরুষরা জিনিসের চেয়ে চিন্তা বেশি মূল্য দেয়। এমন কিছু যা প্র্যাকটিক্যাল, ব্যক্তিগত, অথবা তাদের জীবনকে স্বস্তিদায়ক করে তোলে, সেগুলোই তাদের কাছে সত্যিকারের উপহার। প্রযুক্তি ও গ্যাজেট ; সর্বদাই নিরাপদ এবং কার্যকর উপহারঅধিকাংশ পুরুষ প্রযুক্তি ও গ্যাজেট পছন্দ করেন। এ কারণে স্মার্ট, দৈনন্দিন ব্যবহারযোগ্য ডিভাইসগুলো সবসময়েই সেরা অপশন। কোন গ্যাজেটগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়?নয়েজ–ক্যানসেলিং হেডফোনBluetooth স্পিকারস্মার্টওয়াচ বা ফিটনেস ট্র্যাকারম্যাসাজ গানগ্রুমিং কিটগেমিং অ্যাক্সেসরিজ বা পোর্টেবল প্রজেক্টরEmber টেম্পারেচার-কন্ট্রোলড মগস্মার্ট হোম ডিভাইস যেমন Google Home বা Alexaএগুলো এমন উপহার, যেগুলো পুরুষেরা ব্যবহার করেন, আবার দীর্ঘ সময় আনন্দও পান। পোশাক ও অ্যাক্সেসরিজ; কিন্তু ব্যক্তিগত পছন্দ জানা জরুরিশার্ট, জুতা, ঘড়ি বা বেল্ট, এগুলো পুরুষদের প্রচলিত উপহার হলেও সবার ক্ষেত্রে ঠিক নাও হতে পারে। কারণ অনেক পুরুষ পোশাক এবং অ্যাক্সেসরিজ নিয়ে বেশ খুঁতখুঁতে। কোনগুলো জনপ্রিয় অপশন?উচ্চমানের স্নিকার বা জুতাস্টাইলিশ ঘড়িপ্রিমিয়াম বেল্টব্যক্তিগতকৃত শার্ট বা রোবেআরামদায়ক নাইটওয়্যার বা হুডিকিন্তু মনে রাখতে হবে,পছন্দ জানা না থাকলে পোশাক ঝুঁকিপূর্ণ উপহার। শখ–সম্পর্কিত উপহার; সবচেয়ে ব্যক্তিগততম গিফটযে পুরুষের যে শখ, সেই অনুযায়ী উপহার দিলে সেটি হয়ে ওঠে সবচেয়ে মূল্যবান। শখভেদে উপহারের ধারণাগলফ কিটফিশিং টুলসLEGO বা Star Wars মার্চেন্ডাইজফটোগ্রাফি গ্যাজেটকুকবুক বা কফি–সেটপোর্টেবল SSD বা হেডফোনএগুলো উপহার হিসেবে শুধু ব্যবহারযোগ্যই নয়, বরং পুরুষটির ব্যক্তিত্বও প্রকাশ করে। ব্যক্তিগত, চিন্তাশীল ও হৃদয়ের কাছের উপহারপুরুষরা যতই "আমি কিছু চাই না" বলুক, আসলে তারা চায় এমন উপহার যেগুলো মনে রাখার মতো। কোন উপহারগুলো হৃদয় ছুঁতে পারে?কাস্টম এনগ্রেভড ঘড়িব্যক্তিগত ফটোফ্রেম বা জুয়েলারিচিঠি বা হ্যান্ডরিটেন নোটতাদের ছোট–খাটো চাহিদা লক্ষ্য করে কেনা কোন জিনিসএমন একটি সন্ধ্যা, যেখানে শুধু বিশ্রাম, কোনো দায়িত্ব নয়প্রয়োজন হলে বিল পরিশোধ করে দেওয়া, হ্যাঁ, এটাও উপহার!বাস্তব অভিজ্ঞতা; পুরুষরা আসলে কী বলেন?“ফ্যান্সি মগ না!”অনেকে বলেন, অনেক মগ, টাই বা অপ্রয়োজনীয় জিনিস তাদের ঘর ভরিয়ে রাখে। ব্যবহারযোগ্য উপহারই তারা চান।“আমার বিলটা দিয়ে দিলে ভালো হতো।”অনেক পুরুষ মনে করেন, দায়িত্বের চাপেই তারা ডুবে থাকে। তাই আর্থিক স্বস্তি কখনও কখনও সত্যিকারের উপহার হতে পারে।“টাকা দাও, নিজে কিনব।”বাস্তববাদী পুরুষরা সরাসরি বলে দেন, ভুল কিছু দেওয়ার চেয়ে টাকা দিয়ে দিন।“একদিন বিশ্রাম পেলে সেটাই উপহার।”বেশিরভাগ পুরুষই ক্লান্ত। দায়িত্ব–চাপ, অফিস, সংসার, সব মিলিয়ে তারা চায় একটু মানসিক শান্তি।“যে জিনিসটা চুপচাপ চাই, সেটি যদি কেউ কিনে দেয়!”পুরুষদের অনেক ছোট ইচ্ছা থাকে, যা তারা দায়িত্বের কারণে নিজেরাই এড়িয়ে চলেন। সেই এক ছোট ইচ্ছা পূরণই তাদের সবচেয়ে বড় উপহার।“বন্ধুদের সাথে একটা ট্রিপ!”বেশিরভাগ পুরুষই বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দূরত্বে ভোগেন। তাই একটি উইকেন্ড ট্রিপও চমৎকার উপহার। পুরুষদের জন্য উপহার মানে চিন্তা + প্রয়োজন + স্বস্তিপুরুষদের জন্য উপহার মানে শুধু বস্তু নয়।এটা হলো,তাঁর পছন্দ বুঝে নেওয়া, তার জীবন সহজ করা, তাকে গুরুত্ব দেওয়া, তার চাপ কমানো এবং তার ছোট ইচ্ছাকে সম্মান করা, পুরুষরা জিনিস চায় কম, বুঝে দেওয়া উপহার চায় বেশি। উপহার নয়, অনুভূতিই আসলউপহার যত স্মার্ট বা দামীই হোক, অনুভূতি ছাড়া তার মান কিছুই নয়। পুরুষেরা দামী উপহার নয়, বরং অনুভূতি, মনোযোগ এবং সহজ ভালোবাসা চান। কখনো শুধু সময় দেওয়াই হয়ে ওঠে সবচেয়ে মূল্যবান উপহার। [910]
প্রতিদিন একটি কমলা খাওয়ার অভ্যাস শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না,অস্ট্রেলিয়ায় পরিচালিত সাম্প্রতিক একটি চিকিৎসা-সমীক্ষা বলছে, প্রতিদিন একটি কমলা মুখ, গলা এবং পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ এই সাইট্রাস ফল দীর্ঘদিন ধরেই রোগ প্রতিরোধ, ত্বকের স্বাস্থ্য, হজমশক্তি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে। নতুন গবেষণা এটি আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। কী বলছে অস্ট্রেলিয়ার নতুন চিকিৎসা পর্যালোচনা?বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪৮টি গবেষণা পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞরা জানান-প্রতিদিন একটি কমলা খেলে মুখ, গলা ও পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমেসাইট্রাস ফল ধমনীজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেস্থূলতা ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও কার্যকরপ্রতিদিন পাঁচ ধরনের ফল-সবজি খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রায় ১৯% কমেগবেষকরা বলেন, ফল ও সবজি নিয়মিত খাওয়া এখন আর শুধু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়, বরং জীবনরক্ষাকারী খাদ্যাভ্যাস। কেন কমলা এত স্বাস্থ্যকর?অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উচ্চ মাত্রা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক, অন্য সাইট্রাস ফলের তুলনায় কমলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এগুলো শরীরের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের ঝুঁকি কমায়। কমলার পুষ্টিগুণ,কোন কোন উপাদান রয়েছে?বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি কমলায় পাওয়া যায়;ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, বি ও ইক্যালসিয়ামম্যাগনেসিয়ামপটাশিয়ামফসফরাসপ্রাকৃতিক শর্করাউচ্চমাত্রার খাদ্যআঁশ (ফাইবার)ভিটামিন সি,প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রধান সহায়ক, মানবদেহ নিজে ভিটামিন সি তৈরি করতে পারে না। তাই প্রতিদিন কমলা খাওয়া রোগ প্রতিরোধে সরাসরি সহায়তা করে। হজম শক্তি বাড়াতে কমলার ভূমিকাকমলার আঁশ হজম সহজ করেঅন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখেমলত্যাগ দ্রুত করেকোলেস্টেরল ভেঙে পিত্ত অ্যাসিড তৈরি করেপিত্তপাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়এ ছাড়া কমলার রসে রয়েছে প্রায় ৮৫% পানি, যা শরীরকে সারাদিন হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।মানসিক চাপ কমাতেও সহায়ক কমলাসকালে এক গ্লাস কমলার রস-মানসিক চাপ কমায়ক্লান্তি দূর করেমনোযোগ বাড়ায়হরমোন ব্যালান্স ঠিক রাখেবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মানসিক চাপ কমলে হজমসহ অনেক শারীরিক সমস্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। কমলার খোসায় লুকিয়ে আরও শক্তিশালী পুষ্টি উপাদানগবেষণায় দেখা গেছে, কমলার খোসায় থাকা PMFs (Polymethoxylated Flavones) ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে কিছু ওষুধের মতোই কার্যকর, এবং উল্লেখযোগ্যভাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। কমলার খোসায় আরও পাওয়া যায়—ট্যানজেরেটিননোবিলেটিনএই যৌগ দুটি ক্যান্টালুপ ও কমলার খোসায় সবচেয়ে বেশি থাকে। রসে এর পরিমাণ কম। এছাড়াও কমলার খোসায় থাকা পেক্টিন অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন একটি কমলা কেন খাওয়া জরুরি?ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়কডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখেহজমশক্তি উন্নত করেমানসিক চাপ কমায়কোষ ক্ষয় প্রতিরোধে কার্যকরশরীর হাইড্রেট রাখে[1043]অস্ট্রেলিয়ান গবেষণা স্পষ্টভাবে বলছে, প্রতিদিন মাত্র একটি কমলা আমাদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো থেকে শুরু করে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং হজমজনিত সমস্যায় প্রতিদিন একটি কমলা হতে পারে অত্যন্ত কার্যকর সমাধান। সহজলভ্য এই সাইট্রাস ফলকে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ জীবনধারা নিশ্চিত করা সম্ভব।
রোজ মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ - ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরিএকজন মুসলমানের দৈনন্দিন জীবনে নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। প্রতিদিন সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের তারতম্যের কারণে নামাজের সময় পরিবর্তিত হয়, তাই প্রতিদিনের হালনাগাদ সময় জানা জরুরি।আজকের (ঢাকা জেলা) নামাজের আপডেটেড সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো- আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা জেলা - ১৮ নভেম্বর ২০২৫)আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা জেলা - ১৮ নভেম্বর ২০২৫)নামাজসময়ফজরভোর ৫:০৯ মিনিটযোহরদুপুর ১১:৫২ মিনিটআসরবিকেল ৩:৫৮ মিনিটমাগরিবসন্ধ্যা ৫:২০ মিনিটএশারাত ৬:৪১ মিনিটসাহরি ও ইফতারের সময়সময়সূচিসময়সাহরির শেষ সময়ভোর ৫:০২ মিনিটইফতারের সময়সন্ধ্যা ৫:২০ মিনিটনামাজের নিষিদ্ধ সময়ইসলামে তিনটি নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ-সূর্যোদয়ের সময় – দিগন্তে সূর্য ওঠা থেকে কয়েক মিনিট পর পর্যন্তসূর্য মধ্যাকাশে – যোহরের আগে সূর্য ঠিক মাথার ওপর অবস্থান করলেসূর্যাস্তের আগে সময় – মাগরিবের ঠিক আগের সময়[1034] আজকের নিষিদ্ধ সময় (১৮ নভেম্বর ২০২৫)সময়কালনিষিদ্ধ সময়সূর্যোদয়ের সময়ভোর ৬:২০ থেকে কয়েক মিনিট পর পর্যন্তযোহরের আগেদুপুর ১১:৪৯ থেকে ১১:৫২ পর্যন্তসূর্যাস্তের সময়সন্ধ্যা ৫:২০-এর ঠিক আগে পর্যন্তঅন্যান্য নামাজের সময়সূচি (নফল নামাজ)নামাজসময়কালচাশতের নামাজ (দোহা)সকাল ৬:৩০ থেকে দুপুর ১১:৫০ পর্যন্তআওয়াবিন নামাজমাগরিবের পর থেকে এশার আগে (৫:২১–৬:৪১) তাহাজ্জুদ নামাজরাত ১২:৩০ থেকে ভোর ৫:০০ পর্যন্তবিশেষ নির্দেশনানামাজ সময়মতো আদায় করা প্রতিটি মুসলমানের ওপর ফরজ।স্থানীয় মসজিদের আযান ও সময়সূচিকে অগ্রাধিকার দিন।সূর্যোদয়–সূর্যাস্তের পরিবর্তনের কারণে সময় কিছুটা তারতম্য হতে পারে।নিয়মিত নামাজ আদায় করলে জীবনে শান্তি, বরকত ও সফলতা নেমে আসে।আল্লাহ আমাদের সবাইকে সময়মতো নামাজ আদায়ের তাওফিক দিন। আমিন। তথ্যসূত্র: মুসলিম বাংলা - ঢাকা নামাজের সময়সূচি।ইসলাম ও ইবাদত সংক্রান্ত নিয়মিত আপডেটের জন্য ভিজিট করুন - দৈনিক প্রথম সংবাদ।[1037]
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধে গুরুত্বপূর্ণ রায় স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিচারিক অধ্যায় হলো মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, নারী নির্যাতন ও অন্যান্য জঘন্য অপরাধের বিচার দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।মামলার পটভূমি১৯৭১ সালের জুলাই থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংগঠিত গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তিনি তখন স্থানীয়ভাবে পাকিস্তানি সহযোগীদের সঙ্গে মিলে সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধান করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ ছিল। বছরের পর বছর তদন্ত ও প্রমাণ উপস্থাপনের পর এই মামলা আদালতে আসে। মামলার প্রাথমিক শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। তবে তিনি আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করে মানবতাবিরোধী অপরাধে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদন বিবেচনা করে দৃশ্যত কম সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আদালতের রায় ঘোষণাসোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায়ের ৪৫৩ পৃষ্ঠার প্রথম অংশ পাঠ শুরু হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি ছিলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ছয় অধ্যায়ে বিভক্ত এই দীর্ঘ রায় ঘোষণায় অভিযুক্ত ব্যক্তির ভূমিকা, মামলার প্রমাণ, সাক্ষীর বয়ান ও তদন্ত প্রতিবেদন বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়।দুই ঘণ্টা দশ মিনিটের শুনানি শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী রায়ের শেষ অংশ ঘোষণা করেন। আদালত বলেন, মামুন দোষ স্বীকার করে তদন্তে সহযোগিতা করায় সর্বোচ্চ সাজা নয়, বরং ৫ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এই রায়ে বলা হয়, তার স্বীকারোক্তি অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ উপস্থাপনে সহায়ক হবে।অভিযোগ এবং প্রমাণমামলায় প্রধান অভিযোগ ছিল ১৯৭১ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নিরপরাধ মানুষের ওপর অত্যাচার। প্রসিকিউশন পক্ষ মোট ২২ জন স্বাক্ষী আদালতে হাজির করে। সাক্ষীরা বলেন, সেই সময় পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নির্দেশে কয়েকটি গ্রামে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তিনি স্থানীয় সহযোগী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও সমর্থকদের টার্গেট করতে। তবে আদালত স্বীকার করে যে, মামুন সরাসরি শারীরিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বরং তিনি পুরো পরিকল্পনার অন্যতম সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেছিলেন।রাজসাক্ষী হওয়ার প্রেক্ষাপটচৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন আদালতে জানান, তিনি অতীতে নিজের ভূমিকার জন্য অনুতপ্ত। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত অনেকের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তথ্য দিতে সম্মত হওয়ায় তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে বিবেচিত হন। তদন্ত সংস্থা জানায়, মামুন যে তথ্যগুলো দিয়েছেন, তা আরও অন্তত তিনটি মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।রাজসাক্ষী হিসেবে দোষ স্বীকার করলেই যে মুক্তি মেলে না, সেটিও এই রায়ে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়। আদালত মন্তব্য করে, “আসামির বক্তব্য ও সহযোগিতা বিবেচনা করা হলেও অপরাধের গুরুতর দিক উপেক্ষা করা যায় না।” তাই ৫ বছরের কারাদণ্ডই উপযুক্ত শাস্তি বলে বিবেচিত হয়।রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণরায়ে বিচারপতিরা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল আত্মত্যাগের চূড়ান্ত উদাহরণ। সেই যুদ্ধের সময় যারা নিরপরাধ জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করেছে, তাদের বিচার করা দেশের নৈতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আদালত আরও উল্লেখ করে যে, বাংলাদেশ কোনো প্রতিশোধ নয়, বরং ন্যায়বিচারের পথেই এ ধরনের মামলার রায় ঘোষণা করে আসছে।রায়ে বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধ রাষ্ট্রের ভিত্তি নষ্ট করে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও শহিদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে এই রায় ঘোষণা করা হলো।রায়ের তাৎপর্য ও প্রতিক্রিয়াএই রায়কে বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছেন। তারা মনে করেন, একজন সাবেক উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার দোষ স্বীকার করা ও আদালতের সহযোগিতা করা ইতিহাসে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, এই রায় প্রমাণ করেছে যে যেকোনো অবস্থানে থাকা ব্যক্তির দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এটি সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার সফল প্রয়াস। সরকারি আইনি পরামর্শকরা মনে করেন, রাজসাক্ষী হিসেবে মামুনের দেওয়া তথ্য ভবিষ্যতে আরও অপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং বিচারকে ত্বরান্বিত করবে। সামাজিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধগুলোর বিচার শুধু আইনি নয়, বরং সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব। এই রায়ের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের সময়ে সংঘটিত নৃশংসতাগুলোর দায় স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে একদিকে অপরাধীদের জন্য আইনকে ভয়ের প্রতীক হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে, অন্যদিকে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো কিছুটা হলেও ন্যায়বিচারের স্বাদ পাচ্ছে। একজন বিশ্লেষক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস শুধু রাজনীতি বা যুদ্ধের ইতিহাস নয়, এটি মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার ইতিহাসও। তাই এই রায় সেই মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার অংশ। ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট রাজসাক্ষী হিসেবে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের ভূমিকা ভবিষ্যতের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলাগুলোর জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে। এ রায়ের মাধ্যমে আদালত দেখিয়েছে, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের পথে সহযোগিতা করলেও অপরাধীকে দায়মুক্তি দেওয়া হয় না। একই সঙ্গে এটি তদন্ত সংস্থার জন্যও একটি ইতিবাচক প্রেরণা হবে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই রায়ে ভবিষ্যতের বিচার প্রক্রিয়ায় নতুন গতি আসবে। রাজসাক্ষীর স্বীকারোক্তি পরবর্তী তদন্তগুলোকে আরও সহজ করবে, যা বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের মামলার রায় বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধবিরোধী বিচারব্যবস্থাকে নতুন দিক দিয়েছে। এটি প্রমাণ করেছে যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, পদ বা মর্যাদা নির্বিশেষে সবাই জবাবদিহিতার আওতায় আসবে। ৫ বছরের কারাদণ্ড হয়তো শাস্তির দিক থেকে সীমিত, কিন্তু এর নৈতিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য অনেক গভীর। রায়ের মাধ্যমে আবারও প্রতিফলিত হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ন্যায়বিচারের অঙ্গীকার, এবং একটি মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন। [1039]
বৈধ - অবৈধ সব মোবাইল ফোন পাচ্ছে স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধন রোববার (১৬ নভেম্বর) এক তথ্যবিবরণীতে বিটিআরসি জানায়, দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত প্রতিটি ফোনকে বৈধতার আওতায় আনতে এনইআইআর ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনুমোদনহীন ফোন আমদানি ও ব্যবহারের প্রবণতা কমবে।দেশে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহারের লাগাম টানতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (NEIR) সিস্টেম। এই তারিখের পর থেকে কোনো অবৈধ, ক্লোন বা আনঅফিসিয়াল ফোন দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে আর সচল থাকবে না। তবে বর্তমানে নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব বৈধ ও অবৈধ হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে এবং সচল থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আইএমইআই যাচাইয়ের নির্দেশনাগ্রাহকদের হ্যান্ডসেট বৈধ কি না তা জানার জন্য প্রথমে ফোনে *#06# ডায়াল করে ১৫ সংখ্যার আইএমইআই নম্বর বের করতে হবে। এরপর:KYD IMEI নম্বরএই ফরম্যাটে এসএমএস পাঠাতে হবে ১৬০০২ নম্বরে।কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ফিরতি বার্তায় জানিয়ে দেওয়া হবে- হ্যান্ডসেটটি বৈধ, নাকি অবৈধবিদেশি বা আনঅফিসিয়াল ফোনের ক্ষেত্রেদেশের বাইরে থেকে আনা ফোন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এনইআইআর পোর্টালে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। নিবন্ধন না করলে বিদেশি হ্যান্ডসেট ৩০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্কে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।ব্যবহৃত ফোনের নিবন্ধন অবস্থা যাচাইবর্তমানে যেসব ফোন নেটওয়ার্কে সক্রিয়, সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হলেও গ্রাহক চাইলে নিজে অবস্থা যাচাই করতে পারবেন। যাচাইয়ের নিয়ম -ফোন থেকে *16161# ডায়াল করুন।স্ক্রিনে প্রদর্শিত বক্সে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে সাবমিট করুন।ফিরতি বার্তায় জানানো হবে ফোনটি নিবন্ধিত কি না।এ ছাড়া অপারেটর কাস্টমার কেয়ার, NEIR পোর্টাল বা বিটিআরসির হেল্পডেস্ক থেকেও তথ্য জানা যাবে।হেল্পডেস্ক ও সহায়তাবিটিআরসি হেল্পডেস্ক: ১০০অপারেটর কেয়ার নম্বর: ১২১USSD চেক: *16161#এনইআইআর–সংক্রান্ত তথ্য বিটিআরসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটঅবৈধ হ্যান্ডসেট বাজারে প্রবেশ ঠেকাতে এবং নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা বাড়াতে বিটিআরসি জানায়, এই ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধন কার্যক্রমের পর অবৈধ ডিভাইস চলার সুযোগ থাকবে না, ফলে বাজারে অনুমোদিত হ্যান্ডসেটের ব্যবহার নিশ্চিত হবে।[1036]
আজকের স্বর্ণের দাম বাংলাদেশে(Gold price Bangladesh today)১৭ নভেম্বর ২০২৫।বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দরপতনের প্রভাব অবশেষে বাংলাদেশের বাজারেও পড়েছে। সবশেষ সমন্বয়ে দেশে ২২ ক্যারেটের ভরি স্বর্ণের দাম ৫,৫১৯ টাকা কমানো হয়েছে। ফলে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন দাম ভরি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকা। সোমবার, ১৭ নভেম্বর থেকে বাজারে এই নতুন দাম কার্যকর হবে।শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাম কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের মূল্য কমায় এই সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন ভরিতে স্বর্ণের দাম তালিকা (১৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর)২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম (ভরি) — ২,০৮,২৭২ টাকা২১ ক্যারেট স্বর্ণ (ভরি) — ১,৯৮,৮০১ টাকা১৮ ক্যারেট স্বর্ণ (ভরি) — ১,৭০,৩৯৯ টাকাসনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ (ভরি) — ১,৪১,৭১৮ টাকাবাজুস স্বর্ণের দাম, নতুন দামের সঙ্গে আগের নিয়ম অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত ৫% ভ্যাট এবং ন্যূনতম মজুরি ৬% যুক্ত থাকবে। গহনার মান ও ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করে মজুরি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।[1010][1027] স্বর্ণের দামে ওঠানামা—সংখ্যায় পুরো চিত্র২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৭৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। এর মধ্যে—৫৩ বার দাম বেড়েছে২৪ বার দাম কমেছে২০২৪ সালে মোট ৬২ বার সমন্বয় হয়েছিল।৩৫ বার বেড়েছিল২৭ বার কমেছিলএ থেকেই বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব ও আমদানি খরচ বাড়ায় স্বর্ণের দাম ওঠানামা এখন নিয়মিত ঘটনা। রুপার দাম অপরিবর্তিত — আজও আগের দামে বিক্রিস্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে—২২ ক্যারেট রুপা (ভরি): ৪,২৪৬ টাকা২১ ক্যারেট রুপা (ভরি): ৪,০৪৭ টাকা১৮ ক্যারেট রুপা (ভরি): ৩,৪৭৬ টাকাসনাতন রুপা (ভরি): ২,৬০১ টাকা[1003] আজকের স্বর্ণের দাম ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে পারেদীর্ঘ সময় ধরে একের পর এক দাম বাড়ার পর এবার স্বর্ণের দাম(Gold price Bangladesh today) কমায় সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আরও কমলে তার প্রভাব দেশে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।[998]স্বর্ণ কেনাবেচা, বিনিয়োগ বা গহনা তৈরির জন্য যারা পরিকল্পনা করছেন—তাদের জন্য আজকের এই দামের আপডেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শীতের সন্ধ্যায় গরম কিছু খুঁজলে এখন ঘরে ঘরেই যে খাবারটির কদর সবচেয়ে বেশি, তা হলো এক বাটি মজাদার স্যুপ। বাইরে যতই ঠান্ডা হোক, বাড়ি ফিরে গরম স্যুপ শরীরকে যেমন উষ্ণ করে, তেমনি পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ করে। শীতের সবজি, মুরগির মাংস কিংবা সাধারণ উপাদান দিয়েই ঘরে তৈরি করা যায় রেস্তোরাঁর মতো দারুণ সব স্যুপ।শীত এলে টমেটো, গাজর, পালং, ব্রকলি, মটরশুঁটি কিংবা আলুর প্রাচুর্য থাকে। এ সময় এসব সবজি দিয়ে তৈরি স্যুপ শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও বেশ উপকারী। অনেকেই ইনস্ট্যান্ট পাউডার স্যুপের দিকে ঝুঁকেন, কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে প্রাকৃতিক সবজি দিয়ে তৈরি করা স্যুপই শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো। শীতের সন্ধ্যায় ঘরে বানাতে পারেন ৮টি জনপ্রিয় স্যুপ১. চিকেন কর্ন স্যুপবাংলাদেশে শীতে যে স্যুপ সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়, তা হলো ক্লাসিক চিকেন কর্ন স্যুপ। চিকেন স্টকে সুইট কর্ন, সামান্য ডিম আর গোলমরিচ মিশিয়ে তৈরি এই স্যুপে কাঁচামরিচ ভেজানো ভিনেগার দিলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়। ২. পালং স্যুপপালং শাকের ঋতু মানেই বিশেষ কিছু। অল্প সেদ্ধ করে ব্লেন্ড করে নিলে বেশ ঘন ও মোলায়েম পালং স্যুপ তৈরি হয়। পরিবেশনের সময় সামান্য ক্রিম দিলে এটি আরও রিচ স্বাদ তৈরি করে। ৩. টমেটো স্যুপক্ল্যাসিক টমেটো স্যুপের জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে। শীতের টাটকা পাকা টমেটো দিয়ে এ স্যুপের স্বাদ অন্যরকম। টমেটোর খোসা সহজে ছাড়াতে ফুটন্ত পানিতে এক মিনিট ডুবিয়ে বরফ পানিতে রাখলেই হয়ে যায়। ৪. থাই স্যুপঝাল-টক স্বাদের থাই স্যুপ এখন ঘরোয়া রান্নাঘরেও বেশ জনপ্রিয়। লেমনগ্রাস, চিংড়ি বা মুরগির মাংস আর লেবুর রস মিলিয়ে তৈরি এই স্যুপে থাকে আলাদা একটি সুবাস ও স্বাদ। ৫. পটেটো স্যুপইউরোপ–আমেরিকায় আলুর স্যুপ বেশ প্রচলিত। আলু সেদ্ধ করে দুধ বা স্টকের সঙ্গে গুলে নিয়ে শেষে সামান্য ক্রিম যোগ করলে তৈরি হয় রেস্তোরাঁ স্টাইলে ঘন পটেটো স্যুপ। ৬. গাজরের স্যুপহালকা মিষ্টি স্বাদ, আদার ঝাঁজ ও লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি গাজরের স্যুপ শীতের সন্ধ্যায় ভীষণ উপভোগ্য। গাজর সেদ্ধ করার সময় পানি না ফেললে এর ভিটামিন নষ্ট হয় না। ৭. রাইস-স্পিনাচ স্যুপপালং শাক, চিংড়ি ও সুগন্ধি চাল দিয়ে তৈরি রাইস–স্পিনাচ স্যুপ একদম এক-পাত্রের খাবার। সর্দি–কাশির সময় গরম এই স্যুপ শরীরকে দ্রুত আরাম দেয়। ৮. ভেজিটেবল স্যুপতাজা ফুলকপি, গাজর, ব্রকলি, বাঁধাকপি, সব একসঙ্গে সেদ্ধ করে লবণ–গোলমরিচ ছিটিয়ে তৈরি এই ভেজিটেবল স্যুপ শীতের জন্য আদর্শ। চাইলে কর্নফ্লাওয়ার বা ওট দিয়ে ঘন করা যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,ওজন কমাতেও স্যুপ উপকারী‘ইট দিস, নট দ্যাট’–এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদ ড. কোর্টনি ডি’অ্যাঞ্জেলো বলেন, ওজন কমানোর জন্য উচ্চ আঁশ, ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ স্যুপ সবচেয়ে কার্যকর।তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন:বাঁধাকপি: ভিটামিন সি, বিটা–ক্যারোটিন ও আঁশে সমৃদ্ধ।ব্রকলি: ভিটামিন A, C, K এবং ফোলেটসমৃদ্ধ; প্রদাহ কমাতে ভূমিকা রাখে।মুরগির মাংস: প্রোটিন শরীরে শক্তি জোগায় এবং ক্যালরি বার্ন বাড়ায়।অতিরিক্ত পেট ভরা রাখতে অল্প পরিমাণ ভাত স্যুপে যোগ করারও পরামর্শ দেন তিনি। কেন শীতে স্যুপ খাওয়া শরীরের জন্য ভালো?১. শরীর গরম রাখেস্যুপে থাকা গরম স্টক ও সবজির পুষ্টি শরীর দ্রুত উষ্ণ করে। ২. হজমে সহায়কশীতকালে হজম শক্তি কমে যায়। হালকা গরম স্যুপ হজম আরামদায়ক করে তোলে। ৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ভিটামিন–সি, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, জিংক ও প্রোটিন শরীরকে সুরক্ষা দেয়। ৪. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদকম তেলে কম কার্বোহাইড্রেটের স্যুপ ডায়াবেটিস রোগীদেরও উপযোগী।[981]শীতের সন্ধ্যা উষ্ণ করতে বা হালকা ক্ষুধা মেটাতে এক বাটি ঘরে তৈরি গরম স্যুপ হতে পারে সেরা পছন্দ। শীতের সহজলভ্য সবজি, মুরগি, গাজর, টমেটো কিংবা আলু, যে উপাদানেই তৈরি করুন না কেন, স্যুপ শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি, উষ্ণতা ও স্বাদ একসঙ্গে দেয়। তাই এ মৌসুমে ঘরেই বানিয়ে নিন পছন্দের স্যুপ আর উপভোগ করুন শীতের সন্ধ্যা আরও বেশি শান্তিময়।
আজকের দ্রুতগামী জীবনধারা শিশুদের ওপর যে প্রভাব ফেলছে, তা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। শিশুর মানসিক চাপ কমাতে সীমা নির্ধারণ এখন পরিবারগুলোর জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রিস্কুল শিশুদের মধ্যে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ব্যবহারের হার ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে ২০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে রিটালিন ব্যবহারের হারও ৩০০ শতাংশ বেড়েছে, যা উদ্বেগের বড় কারণ।অতিরিক্ত ব্যস্ততা, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম, অস্থির পরিবেশ এবং তথ্যের অবিরাম চাপ, সবকিছু মিলেই শিশুর মস্তিষ্ক, আচরণ ও শারীরিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অস্থিতিশীল জীবনধারা কীভাবে শিশুর স্ট্রেস বাড়ায়অতিরিক্ত সময়সূচির চাপপরিবার-সময়ের অভাবচিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহারযথেষ্ট বিশ্রাম ও ঘুমের অভাবঅতিরিক্ত টিভি, গেমস ও মোবাইলমনোরোগ বিশেষজ্ঞ রিচার্ড উইন্টার বলেন, “যখন চারপাশ থেকে অতিরিক্ত উদ্দীপনা আসে, তখন কোনো কিছুর প্রতিক্রিয়ায় গভীরভাবে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।”শিশুরা যখন তথ্য ও বিনোদনে ডুবে থাকে, তখন তাদের মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয়, আচরণে অস্থিরতা দেখা দেয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। সীমা নির্ধারণ শিশুর আত্মনিয়ন্ত্রণ গঠনে কীভাবে সাহায্য করে১. পরিষ্কার আচরণবিধি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়শিশুরা জানতে চায়, কোন কাজ গ্রহণযোগ্য আর কোনটা নয়। নিয়ম শোনার পর তারা নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব অনুভব করে। ২. অভ্যাস গঠন হয় সহজেসীমা থাকা মানে প্রতিদিন একই সময়েঘুমানোখাওয়াপড়াশোনাবিশ্রামএসবের অভ্যাস তৈরি হওয়া। ৩. দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পায়নিয়ম জানলে শিশুরা তাদের কাজের পরিণতি বুঝতে শেখে। খাবারে সীমা নির্ধারণ কেন জরুরিজাঙ্ক ফুড বা অতিরিক্ত চিনি শিশুর:ইমোশনাল ব্যালান্সঘুমআচরণসবকিছুকেই প্রভাবিত করে।অভিভাবকের করণীয়টাটকা ফলশাকসবজিপুরো শস্যপ্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারনিয়মিত দেওয়ার মাধ্যমে স্থূলতা, ক্লান্তি ও মানসিক অস্থিরতা কমানো যায়। সময়সূচি ও কার্যক্রমে সীমা নির্ধারণঅতিরিক্ত ব্যস্ত রুটিন শিশুকে মানসিকভাবে ক্লান্ত করে। তাই; স্বাস্থ্যকর পরিবার রুটিননির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ানিয়মিত ঘুমহোমওয়ার্কের বিশেষ সময়পরিবারের সঙ্গে একত্রে সময় কাটানোএগুলো শিশুর মানসিক স্থিরতা বাড়ায়। সীমা নির্ধারণের কার্যকর পদ্ধতি (CARE Method)১. Child’s feelings — অনুভূতি স্বীকার করুন“তুমি হয়তো অসন্তুষ্ট, কিন্তু…”২. Announce the limit — নিয়মটি স্পষ্টভাবে বলুন“খেলনা ছোড়া যায় না।”৩. Redirect — বিকল্প দিন“চাইলে এ খেলনাটা নিয়ে বসে খেলতে পারো।”৪. Enforce — নিয়ম ভাঙলে পরিণতি জানিয়ে দিনধৈর্য ধরে নিয়ম বজায় রাখুন। সীমা মানাতে ধারাবাহিকতা কেন গুরুত্বপূর্ণনিয়ম পালনে ধারাবাহিকতা না থাকলে শিশু বিভ্রান্ত হয়অভিভাবকদের সবসময় একই সিদ্ধান্তে থাকা জরুরিপ্রয়োজন হলে শিশুর সঙ্গে শান্তভাবে আলোচনা করুনপারিবারিক সময় ও উপাসনা শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে ভূমিকা রাখেযথাযথ পারিবারিক সময়, মানসম্মত বিনোদন এবং নিয়মিত পারিবারিক উপাসনা (Reflection Time);আত্মনিয়ন্ত্রণদায়িত্ববোধসামাজিক দক্ষতাআত্মসম্মানশিশুরা মূলত বড়দের আচরণই অনুসরণ করে। তাই স্ট্রেসমুক্ত জীবনযাপন শেখাতে হলে প্রথমে অভিভাবককেই পথ দেখাতে হয়।[1018]শিশুর মানসিক চাপ কমাতে সীমা নির্ধারণ শুধু শৃঙ্খলা নয়, এটি তাদের নিরাপত্তা, আত্মবিশ্বাস ও ভবিষ্যৎ গঠনের অংশ। আচরণ, খাবার, ঘুম, পড়াশোনা ও বিনোদনে সঠিক নিয়ম স্থাপন করলে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। নিয়মিত পরিবার সময় ও ভালো অভ্যাস তাদের স্থিতিশীল ও দায়িত্ববান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
Sheikh Hasina মৃত্যুদণ্ডের রায়: সর্বশেষ আপডেট ও প্রতিক্রিয়াসাবেক প্রধানমন্ত্রী Sheikh Hasina কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT) দ্বারা মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের পর তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আন্তর্জাতিক আদালতে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, এবং রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT‑1) দ্বারা মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই রায় ১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে। শেখ হাসিনার রায়-এর প্রথম প্রতিক্রিয়া সব অভিযোগ অস্বীকার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবিসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার পর বলেন, “ICT-এর বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং একপক্ষীয়।” তিনি আরও যোগ করেন, এই মামলার সুষ্ঠু বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে হওয়া উচিত, যেখানে প্রমাণ যাচাই করা হবে এবং ন্যায়সঙ্গত রায় দেওয়া সম্ভব। তিনটি প্রধান অভিযোগ তুলে ধরেছেনশেখ হাসিনা তার বক্তব্যে তিনটি মূল বিষয় তুলে ধরেন—বিচারপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।ICT কেবল আওয়ামী লীগের নেতাদেরই লক্ষ্য করেছে।অন্য রাজনৈতিক দলের সহিংসতা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলো কোনোভাবে তদন্ত হয়নি। আদালতের রায় এবং প্রসিকিউশন রায়ের বিস্তারিত ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT‑1) রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী Sheikh Hasina, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আল-মামুনকে হত্যার নির্দেশ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে আল-মামুন ক্ষমা চাওয়ায় তাকে ছাড়া করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে Sheikh Hasina ও কামালকে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসিকিউশন ও ট্রাইব্যুনালের বক্তব্য ICT-এর প্রধান প্রসিকিউটর উল্লেখ করেছেন যে, হত্যার নির্দেশ এবং সহিংসতার কার্যক্রম পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণায় নেতৃত্ব দেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, যিনি মামলাটির বিচার সম্পূর্ণ করেছেন। আন্তর্জাতিক ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেশের পরিস্থিতিরায় ঘোষণার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও পারামিলিটারি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে সম্ভাব্য অশান্তি রোধ করা যায়। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াজাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র সচেতন নজরদারি করছে। অন্যদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সাজীব ওয়াজেদ বলেছেন, এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর মাধ্যমে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক অবস্থানকে ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া আওয়ামী লীগ উচ্চপর্যায়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে এবং খুব শিগগিরই বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাবে। অন্তর্বর্তী সরকারও রায় সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিরায় ঘোষণার পর ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT) ভবনের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পারামিলিটারি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে সম্ভাব্য অশান্তি প্রতিরোধের জন্য।ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হত্যার নির্দেশ বাস্তবায়নের সময় হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ঢাকার কিছু এলাকায় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সংস্থাগুলো রায় এবং পরিস্থিতি মনিটর করছে, যাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা যায়। সর্বশেষ Sheikh Hasina সংক্রান্ত খবর ও আপডেট পেতে থাকুন – দৈনিক প্রথম সংবাদ-এর সঙ্গে থাকুন এবং প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ নিউজ প্রথমে জানুন।
স্থানীয় সরকার বিভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫-LGD Job Circular 2025স্থানীয় সরকার বিভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ (LGD Job Circular 2025) প্রকাশিত হয়েছে ১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে। এই নতুন চাকরি বিজ্ঞপ্তিতে মোট ০২টি জব ক্যাটাগরিতে ৯৩ জন নারী-পুরুষকে স্থায়ীভাবে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। যারা সরকারি চাকরি খুঁজছেন, সাপ্তাহিক চাকরির খবর 2025 অনুসরণ করেন অথবা অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি ২০২৪ এর মতো নতুন সুযোগ খুঁজছেন তাদের জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ। অনলাইনে আবেদন করতে হবে https://lgd.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আবেদন শুরু ১৯ নভেম্বর এবং শেষ হবে ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫।স্থানীয় সরকার বিভাগ নিয়োগ ২০২৫-গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ:-১৭ নভেম্বর ২০২৫ (দৈনিক আমার দেশ)আবেদন শুরু:-১৯ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০:০০ টাআবেদন শেষ:-১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫:০০ টামোট শূন্য পদ ও জব ক্যাটাগরিজব ক্যাটাগরি:-২টিমোট পদ সংখ্যা:-৯৩ জনচাকরির ধরন:-সরকারি চাকরি (Permanent Govt Job)বেতন:-জাতীয় বেতন কাঠামো ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০–৫৩,০৬০ টাকাএই বিজ্ঞপ্তি নতুন চাকরি খুঁজছেন এমন সকলের জন্য একটি বড় সুযোগ। অনেক পদে অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরিও পাওয়া যাবে যা অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি ২০২৪ ধাঁচের সরকারি সুযোগ হিসেবেও বিবেচিত।যোগ্যতা ও বয়সসীমাবাংলাদেশি নাগরিক হতে হবেবয়সঃ-১৮–৩২ বছর (১৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী)শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ-স্নাতক/সমমাননারী ও পুরুষ উভয় আবেদন করতে পারবেনকিছু পদে অভিজ্ঞতা লাগবে, কিছু পদে লাগবে নাযারা আর্জেন্ট চাকরি বা সরকারি চাকরি খুঁজছেন তাদের জন্য এটি আদর্শ সুযোগ।অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি-ধাপে ধাপে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন https://lgd.teletalk.com.bd “Application Form” ক্লিক করুন পছন্দের পদ নির্বাচন করুনসব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুনশিক্ষাগত তথ্যজাতীয় পরিচয়পত্র তথ্যপাসপোর্ট সাইজ ছবি (সর্বোচ্চ 100 KB)স্বাক্ষর (সর্বোচ্চ 60 KB) Submit করে Application Form প্রিন্ট করে নিনএই ধাপগুলো চাকরি নিয়োগ প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।আবেদন ফি জমা দেওয়ার নিয়মমোট ফি:-২২৩ টাকা টেলিটক প্রিপেইড নম্বর দিয়ে SMS করতে হবেSMS:-১LGD User ID পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে উদাহরণঃ-LGD DEFABC SMS:-২LGD YES PIN পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে এরপর সফলতার মেসেজ আসবে।ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/প্রতিবন্ধী/তৃতীয় লিঙ্গের আবেদনকারীদের জন্য ফি মাত্র ৫৬ টাকা।User ID / Password ভুলে গেলে করণীয় User ID উদ্ধার করতেLGD HELP USER → 16222 PIN উদ্ধার করতেLGD HELP PIN → 16222স্থানীয় সরকার বিভাগ চাকরির পরীক্ষামোট ৩ ধাপে পরীক্ষা হয়লিখিত পরীক্ষামৌখিক পরীক্ষাকম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষা (যদি প্রযোজ্য)এই পুরো প্রক্রিয়া চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ অনুযায়ী কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়।Admit Card ডাউনলোডঅ্যাডমিট কার্ড প্রকাশ হলে SMS বা Email দেওয়া হবে। http://lgd.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে লগইন করে সংগ্রহ করতে হবে।মৌখিক পরীক্ষায় যেসব কাগজ লাগবেপ্রবেশপত্র (Admit Card)সব শিক্ষাগত সনদের সত্যায়িত কপিজাতীয়তা সনদচরিত্র সনদকম্পিউটার সনদ (যদি প্রয়োজন হয়)মুক্তিযোদ্ধা সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)[1013]সতর্কীকরণকোন আর্থিক লেনদেন করা যাবে নাভুয়া তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হবেএকই প্রার্থী একাধিক আবেদন করলে বাতিল হতে পারেচাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিশেষ পরামর্শযারা সরকারি চাকরি, নতুন চাকরি বা আর্জেন্ট চাকরি খুঁজছেন তাদের এটি মিস করা উচিত নয়।অনেক পদের জন্য অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদন করা যাবে এটি অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি ২০২৪ ধাঁচের একটি বড় সুযোগ। নিয়মিত চাকরির খবর 2025 ও সরকারি নিয়োগ আপডেট দেখতে থাকুন।সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নপ্রশ্ন:-LGD চাকরিতে আবেদন কিভাবে করতে হবে?উত্তর:-শুধুমাত্র অনলাইনে https://lgd.teletalk.com.bd এ আবেদন করতে হবে।প্রশ্ন:-আবেদনের ফি কত?উত্তর:-২২৩ টাকা (টেলিটক প্রিপেইড দিয়ে SMS)।প্রশ্ন:-বয়স কত হলে আবেদন করা যাবে?উত্তর:-১৮–৩২ বছর।প্রশ্ন:-অভিজ্ঞতা ছাড়াও কি আবেদন করা যাবে?উত্তর:-হ্যাঁ, কিছু পদের জন্য অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই — অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি ২০২৪-এর মতো সুযোগ।প্রশ্ন:-এটি কি সরকারি চাকরি?উত্তর:-হ্যাঁ, এটি সম্পূর্ণ সরকারি চাকরি।চাকরি সংক্রান্ত এবং সকল ধরণের খবর সবার আগে জানতে প্রথম সংবাদের সাথে থাকুন[1040][1029][1031][1021][1016]
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ সম্পূর্ণ বিস্তারিতযুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ (MOYS Job Circular 2025) আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি চাকরি খুঁজছেন এমন সকল প্রার্থী, বিশেষ করে নতুন চাকরি, অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি ২০২৫, আর্জেন্ট চাকরি খুঁজছেন তাদের জন্য এই সার্কুলারটি একটি সুযোগ। এবার মোট ০৩ টি ক্যাটাগরিতে ০৩ জন যোগ্য নারী–পুরুষকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে।গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহবিষয় তারিখ প্রকাশের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০২৫ আবেদন শুরু ১৬ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ১০:০০ আবেদন শেষ ৩০ নভেম্বর ২০২৫ বিকাল ৫:০০ মোট শূন্য পদের সংখ্যাযুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মোট ৩টি সরকারি চাকরি পদের জন্য ৩ জনকে নিয়োগ করবে। এটি সরকারি চাকরি, তাই চাকরি নিয়োগ ও বেতন গ্রেড হবে জাতীয় বেতন কাঠামোম২০১৫ অনুযায়ী। এই সার্কুলারটি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫, সাপ্তাহিক চাকরির খবর 2025, ও সরকারি চাকরি শাখাতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।আবেদন করার যোগ্যতামূল শর্তঅবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবেবয়স:-১৮–৩০ বছর ( কোটা থাকলে ৩২ ) শিক্ষাগত যোগ্যতাঅষ্টম শ্রেণিএসএসসিএইচএসসিস্নাতক (পদ অনুযায়ী)অনেক পদে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই, ফলে এটি নতুন চাকরি এবং অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি ২০২৫ খুঁজছেন প্রার্থীদের জন্য সমানভাবে সুসংবাদ।আবেদন করার পদ্ধতিনিচের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবেhttps://moys.teletalk.com.bd আবেদন করার ধাপঅফিসিয়াল লিংকে প্রবেশ করুন“Application Form” এ ক্লিক করুনসঠিকভাবে তথ্য পূরণ করুনপরিষ্কার ছবি (100kb) ও স্বাক্ষর (60kb) আপলোড করুনSubmit করুনপ্রিন্ট কপি সংগ্রহ করে রাখুনআবেদন ফি জমা দেওয়ার নিয়মফি দিতে হবে টেলিটক প্রিপেইড নাম্বার থেকে১০০ + ১২ টাকা = ১১২ টাকা২০০ + ২৩ টাকা = ২২৩ টাকাSMS ফরম্যাট1st SMS:MOYS USERID → পাঠাতে হবে 16222 নাম্বারে 2nd SMS:MOYS YES PIN → পাঠাতে হবে 16222 এটি সরকারি চাকরি হওয়ায় ফি জমা দেওয়ার নিয়ম অবশ্যই সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।বেতন কাঠামোবেতন গ্রেড:-৯,৩০০/- থেকে ৩৮,৬৪০/- টাকাপদভেদে বেতন আলাদা যা সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী।এটি সরকারি চাকরি হওয়ায় চাকরির নিরাপত্তা, পেনশন, ছুটি, সুবিধা সবই বিদ্যমান।পরীক্ষা পদ্ধতিযুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় চাকরির পরীক্ষায় তিনটি ধাপ থাকবে:লিখিত পরীক্ষামৌখিক পরীক্ষাকম্পিউটার ব্যবহার দক্ষতা পরীক্ষা (যেখানে প্রযোজ্য)Admit Card সংগ্রহAdmit Card ডাউনলোড করতে হবে নিচের সাইট থেকে:http://moys.teletalk.com.bdআপনার User ID এবং Password সবসময় সংরক্ষণ করতে হবে।[1007]কেন এই চাকরি গুরুত্বপূর্ণ?এই সার্কুলারটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ:-এটি সরকারি চাকরিখুব কম পদে প্রতিযোগিতানতুন চাকরি খুঁজছেন এমনদের সুযোগঅভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি ২০২৫ চাহিদা মিলবেআর্জেন্ট চাকরি চাওয়া প্রার্থীদের জন্য উপযুক্তচাকরি নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ভুল ও অনলাইন ভিত্তিকএছাড়াও যারা প্রজেক্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৬, সাপ্তাহিক চাকরির খবর 2025, এবং শপিংমলে চাকরি ধরনের সার্কুলার নিয়মিত খুঁজছেন তাদের জন্যও এটি একটি ভালো সরকারি সুযোগ।যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নিয়োগ ২০২৫ প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন:-অনলাইন আবেদন কোথায় করবো?উত্তর:-https://moys.teletalk.com.bdপ্রশ্ন:-আবেদন ফি কত?উত্তর:-112 টাকা অথবা 223 টাকা (পদ অনুযায়ী)।প্রশ্ন:-বয়সসীমা কত?উত্তর:-১৮–৩০ বছর (কোটা থাকলে ৩২)।প্রশ্ন:-অভিজ্ঞতা না থাকলে কি আবেদন করা যাবে?উত্তর:-হ্যাঁ, বহু পদে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই।প্রশ্ন:-চাকরিটি কি সরকারি চাকরি?উত্তর:-হ্যাঁ, এটি সম্পূর্ণ সরকারি চাকরি।চাকরি সংক্রান্ত এবং সকল ধরণের খবর সবার আগে জানতে প্রথম সংবাদের সাথে থাকুন [1029][1031][1021][1016][1013]
বাংলাদেশের বহুল আলোচিত শেখ হাসিনা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের জুলাই–অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার সময় আদালত ছিল জনাকীর্ণ, যেখানে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত,দুইটিতে মৃত্যুদণ্ডরায়ে বলা হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং দুটি অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষ পুরো বিচারপ্রক্রিয়ায় দাবি করে এসেছে যে জুলাই–অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সব মানবতাবিরোধী ঘটনার “মাস্টারমাইন্ড” ছিলেন শেখ হাসিনা। তাদের বক্তব্য, তিনি এসব অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা এবং সর্বোচ্চ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন। অন্যান্য আসামি ও পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের তথ্যএই মামলায় আরও দুইজনকে অভিযুক্ত করা হয়, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এদের মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুনই ছিলেন একমাত্র গ্রেফতার হওয়া আসামি, যিনি পরে রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচার করতে যে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছিল, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেটি পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই প্রথম বিবিধ মামলা গ্রহণ করা হয়। বিচারপ্রক্রিয়া: ৫৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দিরায়ের আগে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দেন। সেখানে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী, আহত ব্যক্তিদের বয়ান, চিকিৎসকদের বিবৃতি এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের তথ্য উঠে আসে। শেখ হাসিনার কথোপকথনের অডিও ও ভিডিও, ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহারের ফুটেজ, গুলি জব্দের তালিকা এবং দেশের ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হয়। ট্রাইব্যুনাল জানায়, এসব প্রমাণ দেখায় যে আন্দোলন দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ সরাসরি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকেই দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন স্থানে হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিবরণরায়ে বিস্তারিতভাবে উঠে আসে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ঢাকার চাঁনখারপুল, রামপুরা, বাড্ডা, সাভার, আশুলিয়া এবং রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে গুলি চালিয়ে আন্দোলনকারীদের হত্যা এবং পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনা। আদালত এসব ঘটনাকে “নাগরিক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সুসংগঠিত ও ব্যাপক আক্রমণ” হিসেবে বর্ণনা করে। রায়ে বলা হয়, এই অপরাধগুলো সর্বোচ্চ শাস্তিযোগ্য এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের ভয়াবহ উদাহরণ। আদালতের পরিবেশ ও দেশের পরিস্থিতিরায় ঘোষণার সময় আদালতের পরিবেশ ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। রায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিহতদের কয়েকজন পরিবারের সদস্য কান্নায় ভেঙে পড়েন; অনেকের মুখে সন্তোষের অভিব্যক্তি দেখা যায়। এদিকে রায় ঘোষণার আগের কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে ছিল উত্তেজনা। বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৩০টি ককটেল বিস্ফোরণ এবং ২৬টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে পুরো দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় ছিল। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও নিহতের সংখ্যাআন্তর্জাতিক অঙ্গনেও রায়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জাতিসংঘের বরাত দিয়ে আদালত জানায়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে প্রায় ১,৪০০ মানুষ নিহত হয়। তাদের অধিকাংশই গুলিতে প্রাণ হারান, যা ১৯৭১–এর পর দেশের সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ‘সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি’-র উল্লেখআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেছে, শেখ হাসিনার নির্দেশে ড্রোন, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, এবং তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এসব অপরাধ প্রতিরোধ ও দমন করতে ব্যর্থ হন। আদালতের ভাষায়, “এটি সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির স্পষ্ট উদাহরণ।” রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন মোড়রায়ের শেষ অংশে আদালত জানায়, তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না। এই মামলার রায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এক নতুন মোড় সৃষ্টি করেছে, যা আগামী সময়েও দেশের রাজনীতি ও বিচারব্যবস্থায় গভীর প্রভাব ফেলবে।[1033]