সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে একটি ভিডিও, যেখানে দেখা যায়—একজন নারী টোকিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ. কেনেডি (JFK) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে “টরেঞ্জা (Torenza)” নামের এক অজানা দেশের পাসপোর্ট দেখাচ্ছেন। ভিডিওটি দাবী করছে, ওই নারী এসেছে “অন্য এক মাত্রা” বা “সমান্তরাল জগত” থেকে!
কিন্তু তথ্য যাচাইয়ে দেখা গেছে, পুরো ঘটনাই একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)–নির্ভর মনগড়া গল্প।
JFK বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বা মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এ ঘটনার কোনো নথি বা প্রমাণ পায়নি।
কোনো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, সরকারি রেকর্ড বা যাত্রী তালিকায় “Torenza” নামের দেশের পাসপোর্টধারী কোনো যাত্রীর উল্লেখ নেই।
ভিডিওটি AI টুল দিয়ে তৈরি ভুয়া ক্লিপ, যা ভাইরাল ও আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে।
এই গল্পের উৎস আসলে ১৯৫৪ সালের বিখ্যাত আরবান লেজেন্ড “The Man from Taured”।
সে সময় বলা হয়েছিল—এক ব্যক্তি টোকিও বিমানবন্দরে এসে দাবি করেন, তিনি “Taured” নামের দেশ থেকে এসেছেন, যা পৃথিবীর কোনো মানচিত্রে নেই।
পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালে জন জেগ্রুস (John Zegrus) নামে এক প্রতারকও “Tuarid” নামের ভুয়া দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে ব্যাংক প্রতারণা করেন।
অর্থাৎ, “টরেঞ্জা পাসপোর্ট নারী” গল্পটি মূলত সেই পুরনো প্রতারণা ও কিংবদন্তির আধুনিক AI সংস্করণ।
বর্তমানে উন্নত AI টুলগুলো এমন ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম যা বাস্তব ফুটেজের মতোই দেখায়।
ফলে অনেকে প্রথম দেখায় ভিডিওকে সত্য ভেবে বিভ্রান্ত হন।
গত মাসেও এমনই একটি AI ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে “জেসিকা র্যাডক্লিফ” নামে এক সামুদ্রিক প্রশিক্ষককে ওরকা (killer whale) আক্রমণ করছে দেখা যায়। পরবর্তীতে জানা যায় না ভিডিওটি বাস্তব, না নারীটি বাস্তবে বিদ্যমান।
“টরেঞ্জা পাসপোর্ট নারী” ভিডিওটি বাস্তব নয়।
এটি পুরনো আরবান লেজেন্ড “Taured”-এর পুনরাবৃত্তি, যা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নতুন রূপে প্রচার করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনো অদ্ভুত ভিডিও দেখলে যাচাই ছাড়া বিশ্বাস না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫
সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে একটি ভিডিও, যেখানে দেখা যায়—একজন নারী টোকিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ. কেনেডি (JFK) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে “টরেঞ্জা (Torenza)” নামের এক অজানা দেশের পাসপোর্ট দেখাচ্ছেন। ভিডিওটি দাবী করছে, ওই নারী এসেছে “অন্য এক মাত্রা” বা “সমান্তরাল জগত” থেকে!
কিন্তু তথ্য যাচাইয়ে দেখা গেছে, পুরো ঘটনাই একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)–নির্ভর মনগড়া গল্প।
JFK বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বা মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এ ঘটনার কোনো নথি বা প্রমাণ পায়নি।
কোনো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, সরকারি রেকর্ড বা যাত্রী তালিকায় “Torenza” নামের দেশের পাসপোর্টধারী কোনো যাত্রীর উল্লেখ নেই।
ভিডিওটি AI টুল দিয়ে তৈরি ভুয়া ক্লিপ, যা ভাইরাল ও আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে।
এই গল্পের উৎস আসলে ১৯৫৪ সালের বিখ্যাত আরবান লেজেন্ড “The Man from Taured”।
সে সময় বলা হয়েছিল—এক ব্যক্তি টোকিও বিমানবন্দরে এসে দাবি করেন, তিনি “Taured” নামের দেশ থেকে এসেছেন, যা পৃথিবীর কোনো মানচিত্রে নেই।
পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালে জন জেগ্রুস (John Zegrus) নামে এক প্রতারকও “Tuarid” নামের ভুয়া দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে ব্যাংক প্রতারণা করেন।
অর্থাৎ, “টরেঞ্জা পাসপোর্ট নারী” গল্পটি মূলত সেই পুরনো প্রতারণা ও কিংবদন্তির আধুনিক AI সংস্করণ।
বর্তমানে উন্নত AI টুলগুলো এমন ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম যা বাস্তব ফুটেজের মতোই দেখায়।
ফলে অনেকে প্রথম দেখায় ভিডিওকে সত্য ভেবে বিভ্রান্ত হন।
গত মাসেও এমনই একটি AI ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে “জেসিকা র্যাডক্লিফ” নামে এক সামুদ্রিক প্রশিক্ষককে ওরকা (killer whale) আক্রমণ করছে দেখা যায়। পরবর্তীতে জানা যায় না ভিডিওটি বাস্তব, না নারীটি বাস্তবে বিদ্যমান।
“টরেঞ্জা পাসপোর্ট নারী” ভিডিওটি বাস্তব নয়।
এটি পুরনো আরবান লেজেন্ড “Taured”-এর পুনরাবৃত্তি, যা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নতুন রূপে প্রচার করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনো অদ্ভুত ভিডিও দেখলে যাচাই ছাড়া বিশ্বাস না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আপনার মতামত লিখুন